আমাদের সম্পর্কে

মানুষ কখনই একা চলতে পারেনা। সেই প্রাচীনকালেও পারেনি। আজও পারেনা। নিশ্চয়ই আগামীতেও একলা পথিকের গন্তব্য খোঁজা বৃথা চেষ্টার অংশ হবে। 
কেননা, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহুর্ত মানুষ একে অপরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেনা। একলা সাফল্য অর্জনের ডাক দেয়া মানুষটি হয়তো জানেনা, পা থেকে মাথা পর্যন্ত তার ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিসই কারো না কারো তৈরি করা। উদাহরণ হিসেবে প্রাচীনকালে দলবদ্ধ হয়ে পশু শিকারে মানুষের সাথে মানুষের সংযোগ তখন বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সময়ের দাবী ছিলো। যা আজো উপেক্ষা করা কঠিন।

কখনো কখনো কেউ একলা চলার ডাক দিলেও যার অন্তরালে লুকিয়ে থাকে সংযোগের আহবান।

বাস্তব্য সত্যি হলো, তথ্য, প্রযুক্তি নির্ভর এই দুনিয়ায়তো এখন আর বিচ্ছিন্ন থাকার সুযোগ নেই। তারপরও পিছিয়ে আমরা। কখন যেন পরিবারে, সমাজে, কর্মস্থলে বিচ্ছিন্নতার কালো ছায়া গ্রাস করতে শুরু করেছে আমাদের। উৎপাদকের সাথে ভোক্তার মধ্যেও দুরত্ব তৈরি করছে সেই একই ছায়ার আগ্রাসন।  ফলে পরিশ্রম, সময়, অর্থ বিনিয়োগ করেও লাভ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকে উৎপাদক, ভোক্তার মধ্যেও দানা বাঁধে অসন্তোষ।  

উভয়ের ঘরে বিনিয়োগকৃত পরিশ্রম, সময়, অর্থের  সুফল তুলতে চাই- সংযোগ।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর অন্তর্জাল দুনিয়ার অফুরন্ত জায়গায় অবস্থান করে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে চায়, সংযোগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর করে সংযোগ স্থাপনের কাজটাই মুখ্য 'সংযোগ' পরিবারের।