জেসিআই বাংলাদেশেরে প্রেসিডেন্টের প্রতি সদস্যদের অনাস্থা

জেসিআই বাংলাদেশেরে প্রেসিডেন্টের প্রতি সদস্যদের অনাস্থা
জেসিআই- বাংলাদেশ’র লোগো।

সংযোগ ডেস্ক: জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল- জে-সিআই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ন্যাশনাল গভর্নিং বর্ডির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ক্যান্টনমেন্টের সেনা প্রাঙ্গনে বেলা ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন জেসিআই বাংলাদেশের বর্তমান ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ। মিটিংয়ে জেসিআই বাংলাদেশ’র গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নয় মাস ধরে আলোচিত জেসিআই বাংলাদেশ এর ন্যাশনাল ট্রেজারারি রিপোর্ট আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিলো। অভিযোগ ওঠে- ওই রিপোর্টে জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত অনেক অনুষ্ঠানেরই সুষ্ঠু হিসাব (আর্থিক বিষয়াদি) পাওয়া যায়নি । ফলে ন্যাশনাল গভর্নিং বোর্ড অব জেসিআই বাংলাদে ‘র বর্তমান ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ এবং তাঁর অধীনে পরিচালিত কার্যক্রম, ২০২৫ ন্যাশনাল ট্রেজারার ইরফান এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বোর্ড সদস্যরা তাদের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করেন। মিটিংয়ে উপস্থিত ৪৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩১ জন ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ফাহাদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ‘নো-কনফিডেন্স’ শো করেন। তাঁরা ট্রাস্টিদের প্রতি আহ্বান জানান- যেন যথাযথ সাংগঠনিক ডিউ ডিলিজেন্স, আর্থিক নিরীক্ষা (ফাইন্যান্সিয়াল অডিট) সম্পন্ন করা হয় এবং জেসিআই বাংলাদেশের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হয়। একই সঙ্গে, উক্ত মিটিং এ ২০২৫ সালের অবশিষ্ট সময়ের জন্য জেসিআই বাংলাদেশের সকল অনুষ্ঠান, কার্যক্রম ও আর্থিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে পরবর্তী নোটিশ দেয়ার আগে পর্যন্ত ।

জেসিআই মূলত: ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণদের জন্য একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এর একটি জাতীয় শাখা। এই সংস্থাটি তরুণদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, সম্প্রদায়গত কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে কাজ করে। জেসিআই বাংলাদেশ এর লক্ষ্য ও কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তরুণদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে প্রশিক্ষণ ও সুযোগ তৈরি করা। সদস্যদের ব্যক্তিগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করা। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প হাতে নেওয়া, যেমন গ্রিন এনার্জি বিপ্লব উদ্যোগ এবং বিশ্বব্যাপী অন্যান্য জেসিআই সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করা।