নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অন্তভূক্তিকরণ: উপকারভোগী জনগণ নাকি আমলা?

মতামত

নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অন্তভূক্তিকরণ: উপকারভোগী জনগণ নাকি আমলা?

আসিফ ইকবাল: প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো নীতি গ্রহণ, যেকোনো বিদ্যমান বিষয় বা প্রতিষ্ঠানের  সংস্কার করা হয় দেশের মালিক জনগণের সুবিধাকে চিন্তা করে, দ্রুত ও সহজ সেবা নিশ্চিতকরণে। আর যেসব গণতান্ত্রিক দেশে আমলারা প্রাধান্য পায়, রাজনীতিবিদ নয় আমলারা পর্দার  আড়ালে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ পায়, সেসব দেশে যেকোনো নীতি গ্রহণ, যেকোনো বিষয় ও প্রতিষ্ঠানের  সংস্কারকরণ মূলত জনগণকে সামনে রেখে উপস্থাপন ও  বাস্তবায়ন করা  হয়, কিন্তু আসল সুফল ভোগী হয় আমলারা।

৫ই আগষ্টের পর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়, সেই সরকার দেশের বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার করার জন্য এগারোটি সংস্কার কমিশন করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম দুটি  হলো জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন শতাধিক সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন এবং বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ শতাধিক প্রস্তাবের  মধ্যে কয়েকটি প্রস্তাবকে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম হলো ভূমি রেজিস্ট্রেশন  সংস্কার, উপজেলা পরিষদ শক্তিশালী করা প্রভৃতি।

নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভূক্ত করার পক্ষে শক্তিশালী যে যুক্তি প্রদান করা হচ্ছে তা হলো, বর্তমানে নিবন্ধন অধিদপ্তর আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের  আইন ও বিচার বিভাগের অধীন পরিচালিত হয় এবং উপজেলা ভূমি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত হওয়ায় সেবা গ্রহিতাদের  সমন্বিতভাবে সেবা প্রদান করা যাচ্ছে না, তাই জনগণ দ্রুত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 
কিন্তু যদি নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া হয় তাহলে সেবা গ্রহিতারা ভূমি বিষয়ক সকল সেবা দ্রুত ও একসাথে পাবে। অর্থাৎ জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের মত অনুযায়ী, মানুষ এখন নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দ্রুত সেবা পায় না, ভূমি মন্ত্রণালয়ে গেলে দ্রুত সেবা নিশ্চিত হবে।

কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দেশের সেবা খাতগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রেজিস্ট্রি অফিস একমাত্র সেবাকেন্দ্র যেখানে মানুষ সাথে সাথে সেবা পায়। অন্যদিকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন যেসব অধিদপ্তর রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে সেবা পেতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। যেমন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন মাঠ পর্যায়ে ভূমি বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিস অন্যতম একটি সেবাদানকারী অফিস। কিন্তু সেবা গ্রহিতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই অফিসে বিভিন্ন সেবা পেতে বিশেষ করে নামজারী  সেবা  পেতে গ্রহিতাদের কমপক্ষে নিয়ম অনুযায়ী  ২৮ দিন সময় লাগে। এবং দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী উপজেলা ভূমি অফিসগুলো সারা বাংলাদেশে  পাঁচ লাখ ছয় হাজার সাতাশিটি নামজারী পেন্ডিং রেখেছে। আবার  সময় সময় লক্ষ করা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের  দ্রুত নামজারী করার জন্য আদেশ করে,  কৈফিয়ত তলব করে। অন্যদিকে নিবন্ধন অধিদপ্তরে এরকম পেন্ডিং দলিল নেই, কেননা সেবা গ্রহিতারা যাওয়া মাত্র নিবন্ধন সেবা প্রদান করা হয়। অর্থাৎ, জনগণ নামজারী সেবা  সাথে সাথে তো পায়ই না, এবং আইন অনুযায়ী যে সময়ের মধ্যে নামজারী দেবার কথা, সে সময়ের মধ্যে  জনগণ নামজারী সেবা পায় না, তাদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ নামজারীর আবেদন ফাইল বন্দি হয়ে থাকে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আরো বলেছে, নিবন্ধন অধিদপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয়ে আসলে দ্রুত নামজারী করা যাবে, অর্থাৎ দলিল নিবন্ধন হবার সাথে সাথে নামজারী প্রদান করা যাবে বা তাদের কথা অনুযায়ী,  নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন না হওয়ায় নামজারী সেবা দ্রুত  দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ বর্তমান পদ্ধতিতে  জমি নিবন্ধনের সাথে নামজারীর কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা দুটি বিষয় দুটি অফিসে আলাদা ভাবে সম্পন্ন হয়। 

জনপ্রশাসন কর্তৃপক্ষ জনগনের সামনে যেভাবে উপস্থাপন করছে- তাহলো সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন আসলেই যেন প্রশাসন ক্যাডারের ছোঁয়ায় আরো দ্রুত সেবা প্রদান করা যাবে, জমি নিবন্ধনের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এই ঘটনার দ্বারা তারা নিবন্ধন অধিদপ্তর যে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষকে অযোগ্য মনে করছে। কোনো বিষয়ের সংস্কার করা হয় তখনি যখন প্রচলিত আইনে দ্রুত সেবা দেয়া যায় না, সেবা দিতে বাঁধা- বিঘ্নতা তৈরি হয়, অথবা সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়।

সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সেবা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেবা গ্রহিতা যাওয়া মাত্র সরকারের রাজস্ব গ্রহণ পূর্বক নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে, অর্থাৎ সেবা গ্রহিতাকে সেবা নেবার জন্য ঘুরতে হয় না, তাদের সময় ও শ্রম নষ্ট হয় না।  আবার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ হিসেবে  বিচার বিভাগের বিচারকরা নিয়োজিত, যারা শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। তারা কোনো অংশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এডমিন ক্যাডারের চেয়ে পিছিয়ে নেই, তাই তাদের ব্যর্থ হবার সুযোগ নেই। যেখানে সেবা দ্রুত প্রদান করা হয় এবং কর্তৃপক্ষ দক্ষ ও সফল, সেখানে তাদের আওতাধীন একটি সফল অধিদপ্তরকে কি করে অন্য একটি মন্ত্রনালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করা হয়?

তারপরও যুক্তির খাতিরে যদি ধরা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ আইন মন্ত্রণালয়ের চেয়ে দক্ষ এবং তাদের সেবা প্রদানের সময় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদপ্তরের চেয়ে অগ্রসর, তাহলে জনগণের স্বার্থে নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ন্যস্ত করা যেতেই পারে। তার আগে আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরগুলো কতটা দ্রুত সেবা দিতে পারে এবং কতটা সফল। উদাহরণ হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন মাঠ পর্যায়ের উপজেলা ভূমি অফিসকে বিবেচনা করা যেতে পারে।

আমরা যদি দলিল নিবন্ধনের পরে নামজারীর কথা চিন্তা করি, প্রচলিত আইনে যা আছে তা হলো, জমি নিবন্ধনের পর প্রতিটি দলিলের বিপরীতে একটি করে  এলটি নোটিশ উপজেলা ভূমি অফিসে যাবে এবং সেই নোটিশ মূলে আইন অনুসরণ পূর্বক যথাযথ সময়ে সেবা গ্রহিতা নামজারী খতিয়ান পাবে। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৮৯ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পর জমি হস্তান্তরের একটি নোটিশ (এলটি নোটিশ) সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে প্রেরণ করা হয়ে থাকে এবং একই আইনের ১৪৩ (সি) ধারার বিধান মতে রাজস্ব অফিসার তথা সহকারী কমশিনার (ভূমি) খতিয়ানের জমা-ভাগের জন্য একটি নথির সূচনা করবেন এবং জোত জমার জমা ভাগের জন্য সহ অংশীদারগণকে নোটিশ দিবেন এবং পর্যায়ক্রমে খতিয়ান সংশোধন করবেন। আবার ভূমি ব্যবস্থা ম্যানুয়ালের ৩১৭ নং অনুচ্ছেদে ভূমি হস্তান্তর নোটিশ পাওয়া মাত্র সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নামজারী কেস রুজু পূর্বক নামজারী খতিয়ান খুলবে।  এদিকে ভূমি মন্ত্রণালয়, শাখা-৯ এর ২৬/০১/২০০২খ্রি. তারিখের ভূঃমঃ/শা-৯ (আইন) ২১/২০০১-৬০/১(১০৬০) নং স্মারক আদেশে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হতে ভূমি হস্তান্তর নোটিশ প্রাপ্তির পর নামজারীর কেস সৃজন ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা থাকার পরও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না এমনকি ১০/১২/২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ভূমি মন্ত্রণালয় ৩১.০০.০০০০.০৫৭.৩১.০২৩.২০.৬৫ নং স্মারকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হতে এলটি নোটিশ প্রাপ্তির পর নামজারী কার্যক্রম সম্পন্নকরণ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারী করে, কিন্তু উপরিউক্ত নির্দেশনানুযায়ী কোন নামজারী ও জমা-ভাগ হচ্ছে না। সারা দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণের বিভিন্ন অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভূমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রচলিত আইনকানুন যথাযথ প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা ও অনীহা ভূমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ ও জনভোগান্তির অন্যতম প্রধান কারণ।

ফলে আইন অনুযায়ী, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো থেকে প্রতিদিন এলটি নোটিশ গেলেও উপজেলা ভূমি অফিসে সেগুলোর অধিকাংশই  বস্তা ভরে রাখা হয়; তাহলে দেখা যাচ্ছে সমস্যা জমির নিবন্ধনে নয়, জমির নামজারীতে। প্রচলিত আইনে যেখানে দ্রুত সেবা প্রদানের পথ রয়েছে , সেখানে নতুন পথ তৈরির কোনো কারণ নেই। আর যেহেতু প্রচলিত আইন  অনুসরণ পূর্বক ভূমি অফিস সেবা দিতে পারে না, তাই এসব অফিসে যেসব কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হয় তাদেরকে ব্যর্থ কর্তৃপক্ষ বলা যেতে পারে। এরকম একটি ব্যর্থ কর্তৃপক্ষের অধীন সফল একটি অধিদপ্তরকে ন্যস্ত করলে তারাও আগামীতে ব্যর্থ হবে এবং জনগণ এখন রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়া মাত্র দলিল নিবন্ধনের যে সেবা পায়, পরবর্তীতে আর পাবে না।

এখন দেখা যেতে পারে, ভূমি মন্ত্রণালয় সেবা দ্রুত প্রদানের জন্য আরো কোনো অধিদপ্তরকে নিজেদের অধীনে নিয়েছে কিনা এবং সেই অধিদপ্তরে সেবার মান কি রকম? ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তর তাদের অধীনে ছিল না। নিবন্ধন অধিদপ্তরকে যেসব যুক্তিতে তারা গ্রহণ করতে চায়, একই ধরণের যুক্তি দিয়ে  ১৯৭৫ সালে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত করা হয়েছে এবং সেখানে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ক্যাডার অফিসার নিয়োগ না দিয়ে জন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা  করা হয়, একই ঘটনা ভূমি অফিসের ক্ষেত্রেও; যার কারণে এই দুই অফিসে  দক্ষ অফিসার তৈরি হয় না, সেবা গ্রহিতারা সঠিক সময়ে  সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হবার পর  জনপ্রশাসন ক্যাডারের অধীনে এই অধিদপ্তর যথাযথ সময়ে না পেরেছে জমির রেকর্ড শুরু করতে এবং না পেরেছে রেকর্ড শুরুর  ৩০-৩৫ বছর পরও সর্বশেষ রেকর্ডের গেজেট প্রকাশ করতে, যার ফলে আদালতে বহু সংখ্যক মামলার উৎপত্তি। একই ব্যাপার তাদের অন্যান্য বিভাগ ও  অধিদপ্তরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ জনগণ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো বিভাগ ও অধিদপ্তরে থেকে দ্রুত ও সহজ সেবা তো পায়ই না, অন্যদিকে তাদের সেবায় দীর্ঘসূত্রিতা ও  ভুলে ভরা।

তাহলে কোন স্বার্থে নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেবার চিন্তা? আমলারা আসলে সব সময় নিজেদের পদ ও ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পদোন্নতির চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত। এখন জনগণকে বুঝিয়ে যদি কোনো ভাবে নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন নেয়া যায়,তাহলে তারা নিবন্ধন অধিদপ্তরের  বিভিন্ন পদে তাদের অফিসারদেকে পদায়ন করতে পারবে,  এতে তাদের পদ যেমন বৃদ্ধি পাবে, বেশি সংখ্যক অফিসার পদোন্নতিও পাবে, তাদের ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।

আমরা কি তাহলে নিবন্ধন অধিদপ্তরকে আইন বিভাগের অধীন রেখে সাথে সাথে সেবা গ্রহণ করতে চাই নাকি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধন অধিদপ্তরকে ন্যস্ত করে সেবার দীর্ঘ সূত্রিতার বিপরীতে আমলাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে চাই?